নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: টানা বৃষ্টি আর ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তায় পানি জমে সোনারগাঁ উপজেলা শহীদ মজনু ও টিপরদী হতে জাদুঘর পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে বিকল হচ্ছে যানবাহন. চরম ভোগান্তীতে পড়ছে যাত্রীরা। ফলে কয়েকদিন যাবত রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়ে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ নামে মাত্র কয়েকবার ইটের খোয়া ও মহাসড়কের কাটা বালুকনা ফেলে সংস্কার করলেও বৃষ্টির পানি রাস্তা থেকে সরতে না পারার কারণে এ অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।
জানাগেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টিপরদী থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন হয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা যেতে শহীন মজনু পার্ক পর্যন্ত রাস্তাটির কয়েকটি স্থানে ২০টিরও বেশী বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ গর্তের কারণে ছোট, হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয় যাত্রী ও চালকরা অভিযোগ করেন, শহীদ মজনু সড়কটি অনেক পুরোনো। এ রোড়ে সোনারগাঁও জাদুঘর ও পানাম নগরীতে পর্যটনসহ দিনে কয়েক হাজার যাত্রী চলাচল করে। তাই উপজেলার অন্যান্য সড়কের চেয়ে এ রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক বেশী বিধায় রাস্তাটি দুপাশে বালু ফেলে উচু করে বিডিং ও ঘরবাড়ী ও দোকানপাট নির্মান করা হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে রাস্তার উপরে পানি জমে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এ রোড়ে আমান ইকোনোমিক জোন, মেঘনা গ্রুপ ও মার্সফিল্ড নামের কয়েকটি কোম্পানীর ভারী যানবাহন চলাচল করার কারণে দ্রুত রাস্তাটি ভেঙ্গে এ অচলবস্তার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে ইটের খোয়া দিয়েঅস্থায়ী ভাবে সংস্কার করলেও কয়েকদিনের মধ্যে তা নষ্ট হয়ে ফের খানাখন্দের সৃষ্টি হয়।খান্দাখন্দের কারণে প্রতিদিনই গর্তে পড়ে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, এবারের বর্ষায় খন্দের কারণে ২ কিলোমিটার সড়কে যাত্রীবাহি অটো ও রিক্সা উল্টে ২০টির বেশী দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে বড় ধরনের হতাহত না হলেও অনেকেই ছোটখাটো দূঘর্টনার শিকার ভোগান্তীতে পড়েছেন। বড় বড় গর্তে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ভারী ও হালকা যানবাহন। তারা আরো জানান, সামনে শীতকাল শীতকালে অনেক দেশী বিদেশী পর্যটক সোনারগাঁও জাদুঘরে আসেন। সে জন্য ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁয়ের আবকাঠামোর মান ধরে রাখতে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানান।